সার্বিয়া তে উচ্চশিক্ষা!!!!
সার্বিয়া সম্পর্কে কিছু কথা:
১৩৪৫ সালে সার্বিয়ান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল: এটি বালকানদের একটি বিশাল অংশ বিস্তৃত ছিল। ১৫৪০ সালে অটোমান সাম্রাজ্য সার্বিয়াকে যুক্ত করে।
১৭১৭ সালে অটোমান শাসনের বিরুদ্ধে সার্বীয় বিপ্লবের সাফল্যের ফলে সার্বিয়ার প্রিন্সিপালটির জন্ম হয়, যা ১৮১৭সালে ডি-ডিক্টো স্বাধীনতা অর্জন করে এবং শেষ পর্যন্ত ১৮৭৮ সালের বার্লিন কংগ্রেসে গ্রেট পাওয়ার দ্বারা স্বীকৃতি লাভ করে। বালকান যুদ্ধে বিজয়ী হিসাবে ১৯১২–১৯১৩, সার্বিয়া বার্ডার ম্যাসেডোনিয়া, কসোভো এবং রাউকা (ওল্ড সার্বিয়া) ফিরে পেল। ১৯১৮ সালের শেষের দিকে ভোজভোদিনা অঞ্চল অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি থেকে স্লভেনিজ, ক্রোয়েটস এবং সার্বের প্যান-স্লাভিক রাজ্যের সাথে একত্রিত হওয়ার জন্য তার বিচ্ছিন্নতা ঘোষণা করেছিল; ১৯১৮ সালের ১ ডিসেম্বর সার্বিয়া কিংডম ইউনিয়নে যোগ দেয় এবং দেশটিকে সার্ব, ক্রোয়েটস এবং স্লোভেনিজ রাজ্যের নাম দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে সার্বিয়া তার বর্তমান সীমানা অর্জন করেছিল, যখন এটি ফেডারেল পিপলস রিপাবলিক অফ ইউগোস্লাভিয়ার মধ্যে ফেডারেল ইউনিটে পরিণত হয় (নভেম্বর ১৯৪৫ সালে ঘোষিত)। নব্বইয়ের দশকে একের পর এক যুদ্ধে যুগোস্লাভিয়ার বিচ্ছেদ হওয়ার পরে, মন্টিনিগ্রোর সাথে স্বল্পকালীন ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পরে সার্বিয়া আবারো ৫ জুন ২০০৬-এ আবার স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
পশ্চিমে দেশটির সীমানা ঘেঁষে রয়েছে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা প্রজাতন্ত্র এবং ক্রোয়েশিয়া প্রজাতন্ত্রের স্লাভোনিয়ান অঞ্চল। সার্বিয়া উত্তরে হাঙ্গেরি, পূর্বে রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়া, দক্ষিণে উত্তর ম্যাসেডোনিয়া এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে মন্টিনিগ্রো সংযুক্ত করেছে।
কেন যাবেন সার্বিয়া?
১. প্রথমত বলতে হয় সার্বিয়াতে টিউশন ফি সবথেকে কম ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় যেটি কিনা ৫০০ ইউরো থেকে ৩০০০ ইউরো পর্যন্ত।
২. এছাড়া এখানে লিভিং কস্ট অনেক কম যেটি কিনা 50 থেকে 90 এর ভিতর আপনি রুম অথবা ইউনিভার্সিটি এর হোস্টেল এ সিট পেয়ে যাবেন। (১৫০ ইউরোতে একমাসের থাকা খাওয়া কমপ্লিট হয়ে যাবে।)
৩. এরপর বলতে হয় এখানে আইএলটিএস এবং রেজাল্টের কোন রেস্ট্রিকশন বা ধরাবাধা নিয়ম নেই।
৪. এরপর আসি ভিসা রেসিও তে , এখানে 100% ভিসা রেশিও বলা যায় যদি কিনা আপনার কাগজপত্র সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই ভিসা পাবেন।
৫. আপনি যদি স্টুডেন্ট হিসেবে ইউরোপের কোন একটি দেশে থাকেন সেখানে থেকে অন্যান্য দেশে যাওয়া আপনার জন্য অনেক সহজ হবে যেটি কিনা বাংলাদেশ থেকে অতটা সহজ নয়। কারণ যখন আপনি ইউরোপের কোনো একটি দেশে যাওয়ার সামর্থ্য রাখেন সেখান থেকে ক্রেডিট ট্রান্সফার বা ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করলে অ্যাম্বাসেডর তখন দেখবে অবশ্যই আপনার সামর্থ্য আছে তা না হলে আপনি এখানে পড়তে আসতে পারেননি। আর আপনি সার্বিয়া থেকে এর পাশের দেশ হাঙ্গেরিতে সহজে ভিজিট ভিসায় যেতে পারবেন কারণ যখন আপনার সামার চলবে তখন আপনি যেকোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার রাইট রাখেন। ইউরোপের সকল স্টুডেন্টরা এই সময় ঘুরতে যায় সুতরাং ৬ মাস থাকার পর আপনি যেকোন দেশ এর ভিসিট ভিসার জন্যে আবেদন করতে পারবেন এবং সহজে ভিসা পাবেন। যদি কেউ মনে করেন সার্বিয়া তে পা রেখেই পরদিন অন্য দেশে পালাবো তাহলে সেটা আপনার এবং অন্যের জন্যে বিপদ ডেকে আনবে। তাই পালানোর চিন্তা না করে সঠিক উপায়ে সঠিক পথ অবলম্বন করে সামনে এগোনো বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এটি কোনো কঠিন কাজ নয় যদি আপনি ঠিকভাবে পা বাড়াতে পারেন।
৬এরপরেও আপনি যদি মনে করেন যদি ভিসা না পাই!!! তাহলে আপনি সেনজেনভুক্ত দেশ এ ঢোকার আগে সার্বিয়া এর পাশের যে দেশগুলো আছে যেমন বস্নিয়া হেরজেগোভিনা, মেসিডোনিয়া এরকম দু-একটি দেশে দুই-একদিনের ট্যুরে যাবেন এবং যেয়ে আবার চলে আসবেন সার্বিয়াতে তারপর আপনি সেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করবেন তাহলে অবশ্যই আপনার বিষয় হবে কোনভাবেই ভিসা মিস হবে না।
উপরোক্ত কারণে সার্বিয়াকে ইউরোপের ঢোকার সবথেকে সেফ জোন বলা হয় কারণ এখানে নেই কোনো আইএলটিএস এর ঝামেলা এবং রেজাল্টের রেস্ট্রিকশন। তেমন টাকা খরচ হয় না সব থেকে বড় কথা এটি সম্পূর্ন ভিসা রিস্ক ফ্রি কান্ট্রি কারণ এখানে ভিসা পেতে কোন রকম কোন ঝামেলা হয় না। অনেকে মনে করেন পর্তুগাল,পোল্যান্ড, মালটা, হাঙ্গেরি এসব দেশগুলো ইউরোপে ঢোকার সেফ জোন কিন্তু এসব দেশে ঢুকা মানে তো আপনি ইউরোপে ঢুকেই গেলেন তাহলে আর সেফ জোন লাগবে কেন ?
সার্বিয়া এর কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়:
সার্বিয়াতে ১৭ টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৮ টি সরকারি যার ৮৫ টি অনুষদ এবং ৫১ টি অনুষদ সহ ৯ টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়।
Public University
1. university of Belgrade
2. University of Nis
3. University of arts in Belgrade
4. University of Novi Sad
5. University of Kragujevac
6. Criminalistic and police studies University
7. State University of Novi pazar
8. University of Defence
Private University
1. Megartend university
2. Alfa University
3. Business Academy University
4. European University
5. Metropolitan University
6. Singidunum University
7. Union University
8. Educons University
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
1. আপনার ডিপ্লোমার স্ক্যান কপি (উচ্চ মাধ্যমিক বা স্নাতক ডিগ্রি)
2. মার্কশিট (সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট ইংলিশ অথবা সার্বিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজে ট্রান্সলেট করতে হবে। কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রান্সলেট করা লাগে না আবার কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজে ট্রান্সলেট করতে হয়।)
৩. আপনার পাসপোর্টের স্ক্যান কপি
4. বায়োডাটা
৫. টেস্টের স্কোর
৬. অর্থায়নের জন্য বৃত্তির প্রমাণ পত্র
৭. সুপারিশ পত্র (দুই থেকে তিন টি )
৮. পোর্টফোলিও বা SOP
টিউশান ফিস:
টিউশন ফি সাধারণত ৫০০ থেকে ৩০০০ ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে যেটা ইউনিভার্সিটি এবং বিষয়ভেদে আলাদা হয়ে থাকে। আবেদন করার পূর্বে আপনারা অবশ্যই ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট থেকে কোন বিষয়ের টিউশন ফি কত সেটা জেনে নিবেন।
সার্বিয়ার স্টুডেন্ট ভিসা পেতে যা যা প্রয়োজন:
১. অরিজিনাল পাসপোর্ট (দুইটি ফাকা পেজ থাকতে হবে
২. দুইটি রিসেন্ট পাসপোর্ট সাইজের ছবি
৩. সার্বিয়ার মিনিস্ট্রি অফ এডুকেশন থেকে গ্রহণকৃত একসেপ্টটেন্স লেটার
৪. সকল এডুকেশনাল ডকুমেন্টস
৫. ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিশিয়েন্সি সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
৬. টিউশান ফিস পেমেন্ট কপি ফর ওয়ান ইয়ার (যেটা অবশ্যই অ্যাকসেপ্ট লেটার উল্লেখ থাকতে হবে)
৭. ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টস
৮. পুলিশ ক্লেয়ারেন্স
৯. মেডিকেল ইন্সুরেন্স
**Students in Serbia are permitted to work part-time on their student visa.**
পার্ট টাইম জব:
সার্বিয়া তে স্টুডেন্টরা পার্ট টাইম জব করতে পারবে সপ্তাহে 20 ঘণ্টা করে। যদি আপনি মনে করেন সার্বিয়া তে যাওয়ার পর আপনি লাখ লাখ টাকা ইনকাম করবেন তাহলে মহাশয় আপনার জন্য সার্বিয়া না। আপনি কোন রকম খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে পারবেন পার্ট টাইম জব করে। এছাড়া আরেকটি সুযোগ আছে পড়াশোনা শেষে আপনি যদি ফুলটাইম জব ম্যানেজ করতে পারেন তাহলে আপনি সেখানে জব করতে পারবেন।
আপনাদের সুবিধার্থে ইন্ডিয়ায় অবস্থিত সার্বিয়া এম্বাসি এর ঠিকানা নিচে দিয়ে দিলাম:
Address:
Serbian Embassy in New Delhi, India 3/50 G. Niti Marg Chanakyapuri Chanakyapuri 110021 New Delhi India
Telephone:
(+91) 11 2687-3661 (+91) 11 2687-2073
Fax:
(+91) 11 2688-5535
E-mail:
office@embassyofserbiadelhi.net.in consul@embassyofserbiadelhi.net.in
Website:
www.embassyofserbiadelhi.net.in
সতর্কতাঃ কোন দেশে যাওয়ার পর কেউ পালানোর চেষ্টা করবেন না সঠিক পথে সঠিক উপায়ে সেনজেন ভুক্ত দেশে প্রবেশ করবেন।কমপক্ষে এক সেমিস্টার কমপ্লিট করবেন আর এর মধ্যে আশপাশের ছোটখাটো দু একটি দেশ ভ্রমণ করার চেষ্টা করবেন এবং সেখান থেকে আবার ফিরে আসবেন। তাহলে সামারে যখন আপনি ভিজিট ভিসার জন্য এপ্লিকেশন করবেন তখন আপনার ভিসা মিস হওয়ার কোনো রকম সম্ভাবনা থাকবে না এতে করে আপনি নিজে বাঁচবেন এবং অন্যকে বাঁচাবেন।
লেখক: আর্কিমিডিস রায়।

খরচ কত পড়বে ভাই
ReplyDelete