রোমানিয়ার ইতিকথা:
২০০৭
সালের ১ জানুয়ারী ইওউতে যোগ দেওয়া বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়া আইন অনুযায়ী শেনজেন অঞ্চলে যোগ দিতে বাধ্য
হলেও বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়েছে। ১৫ ই অক্টোবর ২০১০, বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়া আইন প্রয়োগের সহযোগিতার জন্য [এসআইএস] তে
যোগ দিয়েছিল। ৯ ই জুন, ২০১১-তে মন্ত্রিপরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে মূল্যায়ন প্রক্রিয়াটি
সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং দু'দেশের সমস্ত প্রযুক্তিগত
প্রবেশের মানদণ্ড পূরণ করেছে। বুলগেরিয়া
এবং রোমানিয়ার শেনজেন অঞ্চলটিতে যোগ দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় সংসদ ২০১১ সালের জুনে
অনুমোদন পেয়েছিল। তবে সেপ্টেম্বর ২০১১-এ
মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল, ডাচ ও
ফিনিশ সরকার দুর্নীতি দমনমূলক পদক্ষেপের এবং দুর্বলতা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে।
যদিও আসল পরিকল্পনাটি ছিল মার্চ ২০১২ সালের মধ্যে বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়ার সাথে
তার বায়ু এবং সমুদ্র সীমান্ত খোলা এবং জুলাই ২০১২ সালের মধ্যে এর স্থল সীমানা
খোলা করার জন্য শেনগেন অঞ্চলটির পক্ষে পরিকল্পনা ছিল। জার্মানি, ফিনল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসের বিরোধিতা অব্যাহত রাখার কারণে দু'দেশের বিলম্ব হয়েছে '
4 অক্টোবর 2017 এ, "ইউরোপীয় সংসদ বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়ার" শেঞ্জেন ইনফরমেশন
সিস্টেমে "অ্যাক্সেসের পক্ষে"[শেঞ্চেন অঞ্চলে প্রবেশ করুন] ভোট
দিয়েছিল। 1 আগস্ট 2018 এ,
বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়া শেঞ্জেন ইনফরমেশন সিস্টেমে সম্পূর্ণ
অ্যাক্সেস পেয়েছিল। তদুপরি, "দুই দেশ শেনজেন
অঞ্চলের অংশ হয়ে উঠতে পারে এবং প্রতিবেশী ইইউ দেশগুলির সাথে নিয়মতান্ত্রিক
সীমান্ত চেক বন্ধ করতে পারে কিনা তা চূড়ান্ত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত অবশ্যই ইউরোপীয়
কাউন্সিলের সকল পক্ষকে সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করতে হবে।" ১১ ই ডিসেম্বর,
2018, ইউরোপীয় সংসদ উভয় দেশকে মেনে নেওয়ার পক্ষে এই
প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয় এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাউন্সিলকে এই বিষয়ে
"দ্রুত পদক্ষেপ নিতে" বাধ্যতামূলক করে।
মন্তব্যঃ
সকল তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে বলা যায় যে এই দেশ দুটি ২০২০ এ শেঞ্চেন এ ঢুকতে পারতো
কিন্তু করোনা পেনডিমিক এর জন্য হয় নি। সুতরাং আগামী বছর ঢুকবে বলে আশা করা যায়।
একটু
দেখে নিই কোন দেশ এ কি সুবিধা আছে ?
১.
পর্তুগাল : ওয়ার্কার নিতে আঘ্রোহী + ইসি পাসপোর্ট + PR
২.
পোল্যান্ড : ওয়ার্কার নিতে আঘ্রোহী + স্টুডেন্ট
চাইলে ওয়ার্কার এ কনভার্ট করতে পারে + ১ মাসে TRP
৩.
এস্তোনিয়া : ওয়ার্কার নিতে আঘ্রোহী + স্টুডেন্ট
অবস্থায় আনলিমিটেড কাজ করা যায় + ১ মাসের মধ্যে TRP + স্টাডি শেষে ১ বছর জব খোঁজার সময়
৪.
চেক রিপাবলিক : ওয়ার্কার নিতে আঘ্রোহী+ স্টুডেন্ট চাইলে
ওয়ার্কার এ কনভার্ট করতে পারে + ১ মাসে TRP+ স্টাডি
শেষে ৯ মাস জব খোঁজার সময়
৫.
ইতালি : অভিবাসী ফ্রেন্ডলি দেশ+ ওয়ার্কার নিতে
আঘ্রোহী+ ইসি PR + অবৈধ অবস্থায় থাকা যায়।
আরো
অনেক দেশ আছে যেখানে অবৈধ অবস্থায় থাকা যায় সেটা আপনারা ভালো করে জানেন।
এবার বলি আমি কেন রোমানিয়া পছন্দ করলামঃ
প্রথমতঃ
এখানে ভিসা পাওয়ার পসিবিলিটি ১০০% বলা যায়।
কারণ আমার মত মদ্ধবিত্ত পরিবার থেকে এসে কেউ ২,৩ বার
বিভিন্ন দেশে এপ্লিকেশন করে ৫০ থেকে ১ লাখ টাকা লস করার সামর্থ থাকে না। তাই যাতে
কোনো টাকা লস না করেই একেবারেই ভিসা টা পেয়ে যাই।
দ্বিতীয়তঃ
আগেই আমরা জেনেছি যে একটু লো কোয়ালিটি এর দেশ
গুলোতে একটু সুযোগ বেশি থাকে যেটা টপ লেভেল এর দেশে দেয় না। তাই রোমানিয়া যদি ১,২ বছর এর মধ্যে সেঙ্গেন হয় তাহলে সব থেকে সুযোগ এইখানে থাকবে। কারণ এই
দেশ এর সেঙ্গেন হতে অনেক টাইম ও কষ্ট করতে হয়েছে। তাই তারা ইকোনমিক কন্ডিশন কে
এগোনোর জন্য অনেক অফার করতে পারে।
তৃতীয়তঃ
PR
পেতে কে না চায় ? যদি রোমানিয়া সেঙ্গেন
হয় তাহলে আমি মনে করছি পর্তুগাল এর থেকেও বেশি সুবিধা এখানে পাবো। আর তাছাড়া
রোমানিয়া তে সব প্রসেস সহজে হয়।
IELTS লাগে
না। যদিও আমার স্কোর ৬ তাই আমি ওভার কনফিডেন্ট এডমিশন ও ভিসার ক্ষেত্রে।
মূলত
উল্লেখিত কারণ গুলো প্রধান ভূমিকা রাখে আমার রোমানিয়া পছন্দ করার ক্ষেত্রে।
ধন্যবাদ।
লেখকঃ
আর্কিমিডিস রায়।

Informative writing. good job and best of luck
ReplyDelete