বিদেশে পড়াশুনা করার মানসিকতা থাকলে আপনাকে ফার্স্ট যে কাজ টি করতে হবে সেটা হলো দেশ নির্বাচন করা. এটি আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী করতে হবে। সেকেন্ড কাজ হলো আপনাকে ইউনিভার্সিটি খুঁজে তার রিকুইরেমেন্ট গুলো ভালো করে দেখে সেই অনুযায়ী পাপেরস রেডি করা।
কিছু কিছু দেশ যেমন চেক প্রজাতন্ত্র ,পোল্যান্ড , অষ্ট্রিয়া ,স্লোভেনিয়া ,রোমানিয়া , বুলগেরিয়া ক্রোয়েশিয়াএ ছাড়াও কিছু দেশে legalization লাগে। ইউনিভার্সিটিতে এপ্লিকেশন এর ফার্স্ট রেকোইরেমেন্ট ই এইটা। সুতরাং আপনাকে এপ্লিকেশন করতে হলে এটি প্রথমে করতে হবে।
লিগালাইজেশন বা বৈধকরণের পদ্ধতি (যা সত্যায়ন বা প্রমাণীকরণ হিসাবেও পরিচিত, যদিও এগুলি মূলত একই প্রক্রিয়া হয়) কেবল তিনটি ধাপে বিভক্ত করা যায়, যদিও প্রতিটি পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ পৃথক হতে পারে:
১. সরকার কর্তৃক যাচাইকরণ
২. গন্তব্য দেশের দূতাবাস দ্বারা যাচাইকরণ
একটি চূড়ান্ত যাচাইকরণকে (legalization)
বিস্তৃতভাবে বলতে গেলে, যে কোনও আন্তর্জাতিক নথি প্রমাণীকরণ প্রক্রিয়াটির উদ্দেশ্য একটি মৌলিক ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান করা: নাগরিক ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা বিদেশে জারি করা একটি নথির সত্যতা কীভাবে নির্ভরযোগ্যতার সাথে যাচাই করতে পারেন?
বৈধকরণ প্রগতিশীল উচ্চতর সরকারী কর্তৃপক্ষের প্রত্যেকে একটি শৃঙ্খলা তৈরি করে এই দ্বিধাটি সমাধান করার চেষ্টা করে যাতে চূড়ান্তভাবে দেশগুলির মধ্যে যোগাযোগের বিষয়টি একটি একক মনোনীত কর্মকর্তার (সাধারণত বিদেশী বিষয়গুলির জন্য দায়ী জাতীয় বিভাগে) সংযুক্ত করতে পারে। সুতরাং, এই চূড়ান্ত আধিকারিকের স্বাক্ষর এবং সিলটি প্রমাণীকরণের মাধ্যমে একটি বিদেশী এখতিয়ার প্রতিটি "লিঙ্ক" পৃথকভাবে যাচাই না করে মূল ডকুমেন্ট জারির জন্য দায়ী সত্তাকে ফিরে যাচাইকরণের পুরো শৃঙ্খলে প্রমাণীকরণ করতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশী ব্যক্তি যিনি পোল্যান্ডে পড়াশুনা করার ইচ্ছা পোষণ করেন তাহলে প্রথমে তাদের গুরুত্বপূর্ণ দলিলগুলি যথাযথ কর্তৃপক্ষ বা গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স সাথে প্রমাণীকরণ (এটাস্টেশন) করতে হবে, তারপরে এই অনুমোদনযুক্ত নথিগুলি বৈধ হওয়ার জন্য নিতে হবে পোল্যান্ড বিদেশের মিশন বা এম্বেসী আর নিকট। এম্বেসী সব কিচু দেখে শুনে সিল মেরে দিবে। আর এটাই লিগালাইজেশন।

No comments:
Post a Comment